যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব-এর ৯২তম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩ তমজন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিস অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নেতাকর্মীবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা ও দূতাবাসেরকর্মকর্তাবৃন্দ এবং উপস্থিত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণীবঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং তাঁদের জেষ্ঠ্যপুত্রবীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল–এর প্রতিকৃতিতেপুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। এসময় দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং জাতির পিতা ও তাঁরপরিবারের সদস্যবৃন্দসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদদেরআত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
পরবর্তিতে এ দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্তবাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এরপর উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিগণ আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তৎপরবর্তি স্বাধীনবাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁদের অসামান্য ভূমিকার প্রতি আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত তালহা তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠবাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে তার অসামান্য ও কালজয়ী নেতৃত্বের কথা পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতির ছায়াসঙ্গীছিলেন এবং একাধারে অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘরাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে পরামর্শ ও সাহসযুগিয়েছেন। আবার সংসারের হাল ধরে পাঁচটি সন্তানকেসুশিক্ষিত ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনিআরও বলেন, জাতির পিতার জেষ্ঠ্যপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর একজনতরুণ সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক। এসময় রাষ্ট্রদূত এইউভয়ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, একটি স্বাধীন দেশেরঅবিসংবাদিত রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ও জেষ্ঠপুত্র হিসেবে তারাসকল আয়েশী জীবনের হাতছানিকে উপেক্ষা করে যুদ্ধবিদ্ধস্তএকটি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস কাজকরেছেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গমাতার জীবনচিত্র সকলনারীর জন্য যেমন অনুকরণীয় তেমন শহীদ শেখ কামাল-এরজীবনী থেকে এ দেশের যুবসমাজের উত্তরণ ও আত্ম-উন্নয়নেররুপরেখা খুজে পাওয়া যায়।। এসময় তিনি রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের শহীদ পরিবারেরআত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের চেতনার আলোকে একযোগে কাজকরার জন্য আহবান জানান।
আলোচনাপর্বে উপস্থিত রাজনৈতিক ও সামাজিকনেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁরা বর্তমান প্রজন্মকেবঙ্গমাতা ও শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন থেকে শিক্ষানেবার জন্য সকলকে অণুপ্রাণিত করেন।
Leave a Reply