ফ্রান্সে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব
—————————————————————
ফ্রান্সে বর্ণাঢ্য ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো ফ্রেঞ্চ-বাংলা স্কুল ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ রবিবার নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা ও বৈশাখী গানসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মঙ্গল শোভাযাত্রা সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও বাংলাদেশী কমিউনিটির রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রা স্কুল প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করে । বৈশাখের নানা আলপনা অঙ্কিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপস্থিতরা।
স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সমবেত কন্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ ‘
গান দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বৈশাখ ও দেশের গান পরিবেশনের পাশাপাশি নৃত্যে অংশগ্রহণ করে দেশটিতে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা। এতে বিভিন্ন দেশীয় খেলাধুলারও আয়োজন করা হয়।যেমন বাচ্চাদের ১০০ ও ২০০মিটার দৌড়, মহিলা দের বালিশ খেলা এবং পুরুষ দের হাড়ি ভাংগা। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ পান্তা ইলিশও ছিল ফ্রান্সের বৈশাখ উৎসব অনুষ্ঠানে।
বৈশাখ উৎসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামিরুল ইসলাম মিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনি ও স্কুলের শিক্ষক সুমা দাসের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে মেরীর প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেদী হাফসী, ম্যডাম নোরা আরুয়া, আমিনা মুইনি, নাছিমা মেরাবটিন, ফ্রেঞ্চ-বাংলা স্কুলের শিক্ষক ডিরেক্ট্রিস ফাতেমা খাতুন, সুমা দাস, রমা পাল ও
মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সহ সভাপতি বাবু বলরাম রাজ,ইয়াসিন হক নাজমুল হক সিমু, হুমায়ুন কবীর, রবিউল ইসলাম শামীম,ফরহাদ হোসেন, অভিজিৎ ঘোষ, বাবুল সরকার, আতাউর রহমান হেলাল, দীপু রায়, সোহেল মোল্লা,রাজেন্দ্র মোহান্ত, মোশারুফ হোসেন,মামুন এবং সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন স্কুলের সকল অভিভাবকবৃন্দ।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, বাংলা বর্ষবরণ উৎসব একটি সার্বজনীন উৎসব,এ উৎসব যেমন নতুন করে শক্তি যোগায় তেমনি নতুন করে পথ চলাও বাতলে দেয়।
আর প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের সাথে বাঙালির শেকড়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে বাংলা বর্ষবরণের এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখে।সবশেষে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।
Leave a Reply