প্যারিস, ২৪ জানুয়ারি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসের লো পারশঁ হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে লেখক ও একটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের সবশেষ বই ফুলকুমারীর প্রকাশনা অনুষ্টান।
ফুলকুমারী পিনাকী ভট্টাচার্যের শরণার্থী জীবনের উপর ভিত্তি করে রচিত। যেখানে লেখক কোভিড মহামারির কঠিন সময়ে নির্বাসিত জীবন এবং একটি ইঁদুরের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে উপন্যাসটির পট তৈরী করেছেন৷
বইটি ইতিমধ্যে অনলাইন মার্কেট প্লেস এমাজনে দক্ষিণ এশীয় ক্যাটাগরিতে বেস্ট সেলার হয়েছে। আলোচিত বইটি প্রকাশ করেছে প্যারিস ভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা পিক্ট বুকস৷
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যারিস ইনস্টিউট ফর ক্রিটিক্যাল থিংকিং (পিক্ট) এর এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর এভ্রিম সালিম সাইয়ের এবং পিক্ট-এর এডিটর এট লার্জ ডেভিড সালিম সাইয়ের।
অনুষ্টানটি বাংলা এবং ইংরেজি দুই সেশনে পরিচালিত হয়। বাংলা সেশনের সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুব হোসাইন এবং ইংরেজি সেশনের সঞ্চালনা করেন তরুণ এক্টিভিস্ট মানুচেহের শাফি৷
প্রকাশন অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এক্টিভিস্ট মুহাম্মদ আলী চৌধুরী।
ফ্রান্সের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এভ্রিম সাইয়ের বলেন, “পিনাকী ভট্টাচার্য আমাদের গবেষণা সংস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। ফুলকুমারী প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। ইতিমধ্যে এটি বেস্ট সেলার হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে পিনাকীর সাথে আরও কাজ করতে চাই।”
বইটির এডিটর ডেভিড সালিম সাইয়ের বলেন, “আমি এক বছর ধরে বইটি নিয়ে জনাব পিনাকীর সাথে কাজ করেছি। এটির শুরু থেকে প্রকাশ পর্যন্ত নানা ছন্দে বিভক্ত ছিল। বিশেষ করে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান ও এটিকে কেন্দ্র করে সংগঠিত ঘটনা বইটিকে কেন্দ্র করে পুরো প্রেক্ষাপট পালটে দিয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ফুলকুমারী শুধুমাত্র উপন্যাস না। এটি মূলত একটি আত্মজীবনীমূলক কথাসাহিত্য। পাঠকেরা এটিকে পছন্দ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।”
বইয়ের লেখক পিনাকী ভট্টাচার্যের তার বক্তব্যে বইয়ের একটি অংশ শ্রোতাদের সামনে পড়েন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশের টেকনাফের আলোচনা একরাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ফুলকুমারীতে স্থান পেয়েছে টেকনাফের আলোচিত একরাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও।
পিনাকী ভট্টাচার্য আরও বলেন, বাংলাদেশি লেখকদের বৈশ্বিক পাঠক মহলকে আকৃষ্ট করতে ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষায় লেখা উচিৎ৷ এটির ফলে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।
পাঠকদের মধ্যে ফুলকুমারী বইয়ের উপর আলোচনা করেন এক্টিভিস্ট মনোয়ার পাটোয়ারী এবং পীনাকী ভট্টাচার্যের
সহধর্মিণী আনজুমান আরা বেগম।
ফ্রান্সের বাংলাদেশ কমিউনিটির ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মান্নান আজাদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব টি এম রেজা, গ্লোবাল সিকিউরিটি কনসালটেন্ট আনিসুর রহমান, ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক কামরুজ্জামান, নারী নেত্রী শামীমা আক্তার রুবী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মীর জাহান, ব্যাংকার ইফতেশাম চৌধুরী, কবি বদিউজ্জামান জামান, লেখক খান আনোয়ার হোসেন, বিসিএফ প্রতিনিধি মোসাদ্দেক সাইফুল, সাংবাদিক ওমর ফারুক, সাংবাদিক মোমিন আনসারী, তরুণ এক্টিভিস্ট ওয়াদুদ তানভীর, শাহজাহান আহমেদসহ প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্টানটিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ) এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (এফবিজেএ)-এর প্রতিনিধিরা।
Leave a Reply