শাওন আহমেদ: ইতালীর বন্দর নগরী নাপলী শহরের সান জেন্নারো এলাকায় এই প্রথম মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে জায়গা ক্রয় করা হয়। বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ধার্য্য করা হয় জমিটির মূল্য।
মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ধারিত জায়গায় এই প্রথম প্রকাশ্যে আজান দেয়া হয়, পরে নামাজ আদায় অতপর কোরআনে তাফসির অনুষ্ঠিত হয়। তাফসির অনুষ্ঠানে ইউকে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বক্তারা আসেন। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন শায়েখ আবুল হোসাইন খান, মাওলানা শাহাদাত হোসেন আজহারী, মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ সাকিব সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুসলিম উম্মাহ নাপলী এসোসিয়েশন (মুনা)‘র সভাপতি গোলাম আক্তার লিটন। তাফসির অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহ সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার চুন্নু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিক দরিফ। আশপাশ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উপস্থিত হন কোরআনে তাফসির অনুষ্ঠানে।
ভিন্ন ধর্মের দেশে কিভাবে সন্তানদের ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করবে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বক্তারা। এছাড়াও পরকালের কথা ভুলে গিয়ে পার্থিব জীবন নিয়ে ব্যস্ত না থাকার বিষয়েও আলোচনা করেন।
কোরআনে তাফসির অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গোলাম আক্তার লিটন বলেন, মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গাটি ক্রয় করতে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার প্রয়োজন। বেশির ভাগ টাকাই বকেয়া রয়েছে যা একজনের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয় তাই সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই বোনকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, ইতালীর মাটিতে টাকা হলেই মসজিদের জন্য জায়গা কেনা যায় না, নানা ধরনের প্রতিকূলতা রয়েছে, সুভাগ্যক্রমে এই জায়গা পাওয়ায় আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি এবং সকলকে আল্লাহর ঘর মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য যার যার অবস্থান থেকে শরীক হওয়ার অনুরোধ জানান।
শেষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণে, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণেও বিশেষ দোয়া করা হয়।
Leave a Reply