ইতালীর বন্দর নগরী নাপলী, শহরটির বিভিন্ন পৌরসভায় প্রায় 18 হাজার বাংলাদেশীর বসবাস তার মধ্যে বেশির ভাগই শরীয়তপুর জেলাবাসী। সময়ের বিবর্তনে নাপলী শহর ও আশপাশে শরীয়তপুর জেলা বাসীর বড় একটা কমিউনিটি গড়ে উঠেছে, ব্যবসা বাণিজ্য, চাকরী বা বিভিন্ন পেশায় কাজ অনেকে অর্থনৈতিক ভাবেও প্রতিষ্ঠিত। অনেকে সামাজিক, রাজনৈতিক ভাবেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে অন্যান্য কমিউনিটির মাঝে। দীর্ঘ প্রায় বিশ বছরে শরীয়তবাসীর অনেকে মানুষ থাকলেও এখন পর্যন্ত জেলাবাসীর স্বার্থে বা কাজ করার জন্য কোন ধরনের সংঘঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারেনি তারা। তবে দেরিতে হলেও শরীয়তপুর জেলাবাসীর কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ একটি সংগঠন গঠন করার লক্ষ্যে সান জেন্নারোর হাওলাদার রেষ্টুরেন্টে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে শরীয়তপুর জেলাবাসী।
আলোচনা সভার মূল উদ্দ্যোক্তা হিসাবে ভুমিকা রাখেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কুদ্দুস হাওলাদার। নাপলীর বিভিন্ন শহরে বসবাসরত শরীয়তপুর বাসী বিশিষ্ট ব্যক্তবর্গের মধ্যে উপস্থিত, মিজানুর রহমান বাচ্চু, মালেক পালোয়ান, শামসুদ্দিন দেওয়ান, আবুল কালাম আজাদ, মোজাম্মেল সরকার, মোশারফ খলিফা, জয়নাল আবেদীন, হারুন বেপারী, সৈয়দ রাজীব, মোহাম্মদ সুমন, মো: মামুন, মোঃ মামুন, মোঃ ইউসুফ, শামীম খালাসী, সাঈদ খালাসী, শওকত মোড়ল, মনসুর মিয়া প্রমুখ।
আলোচনার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন হাফেজ মাওলানা গোলাম রাব্বানী।
আলোচনা সভায় সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আগামী 15 দিনের মধ্যে একটি সংগঠন গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন নেতৃবৃন্দ। যে সংগঠনটি শরীয়তপুর জেলা বাসীর কল্যাণে কাজ করবে, যেমন যারা ইতালীতে নতুন আসছে তাদের কর্ম সংস্থান যোগান দেয়া, সমস্যা বা ভুক্তভোগী মানুষকে সহযোগিতা করা, এমনকি স্বাস্থ্য ও ইমিগ্রেশনমূলক সমস্যায় পড়া মানুষের পাশে দাড়ানো । এছাড়াও কোন মানুষ মারা গেলে তার লাশ দেশে প্রেরণ, আগামী প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের ইসলামিক, বাংলা, ও ইংরেজী শিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রেও সংগঠনটি বড় ধরনের ভুমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্তকরেন নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় নাপলী শহরের বিভিন্ন পৌরসভা থেকে শরীয়তপুরবাসীরা অংশগ্রহন করেন। আলোচনা সভায় অন্যান্য জেলারও অনেকে মানুষ উপস্থিত ছিলেন এবং সংগঠন গঠন করার পরিকল্পনাকে অভিনন্দন জানানোর পাশিপাশি সব ধরনের সহযোগিতা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply