বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী পালন।
যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিস এর আয়োজনে শোক দিবস পালন করা হয়।
ফ্রান্স প্রতিনিধি রাসেল আহমেদ জানান
সকালে দশটায় মান্যবর রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ও রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন।
পরে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। তারপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা সহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও ফ্রান্স আওয়ামী লীগ সহ সামাজিক রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
পরে বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্ট যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দূতাবাসের প্রথম সচিব ওয়ালিদ বিন কাসেম এর পরিচালনায়
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি. পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এর বাণী পাঠ করা হয়।
পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। পরে মান্যবর রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা তার সমাপনী বক্তব্যে রাখেন ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এবং সেই সাথে তোমরা আগস্ট এর সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি আরো বলেন
দূরদর্শী, দৃঢ় ও আপোষহীন নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বতন্ত্র পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে দুর্লভ সম্মান বাঙালি পেয়েছে, তার জন্য সমগ্র জাতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ- চিরঋণী। তিনি বলেন এ হত্যাকাণ্ড শুধু বাঙালি জাতির নয় সমগ্র পৃথিবীর জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।
তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংকল্প সমগ্র দেশবাসিকে উজ্জীবিত ও দেশের উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার অনুপ্রাণিত করেছে।
পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে সকালের মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply