ফ্রান্সের তুলুজ শহরে অনুষ্ঠিত হলো খ্রিস্ট ধর্ম বিশ্বাসীদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব ইস্টার সানডে।
যীশুর এই পুনরুত্থান কে কেন্দ্র করে তাইতো তারা মেতে উঠে ছিল বিজয়ী উৎসবে।
প্রবাসে এই দিনকে কেন্দ্র করে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের উপস্থিতি যেন মনে হয়েছিল এটি একটি ছোট্ট বাংলাদেশ।
বাংলাদেশী প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন,তুলুজ-ফ্রান্স কর্তৃক আয়োজিত এই বিজয় উৎসবে বাংলা খিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ইতালি থেকে আগত ফাদার এম. মার্টিন মুরং ।
বিজয়ের এ দিনের অনুষ্ঠান সূচিতে, আরও ছিল ইস্টার সানডের বিশেষ খাবার দই, চিড়া মুড়ি পরিবেশন, কীর্তন পরিবেশন, বাচ্চাদেরকে উপহার প্রদান, ফ্রান্সে নূতন যারা বসবাসের অনুমতি পেয়েছে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানো এবং আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,
দুপুরের আহার শেষে সংগঠনের- সাধারণ সম্পাদক মার্ক রায় এর মনমুগ্ধকর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ও আলোচনা সভা।
নূতন প্রজন্মের নৃত্য শিল্পীদের নিয়ে নৃত্যগুলো ছিল সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
সংগঠনের সভাপতি যোসেফ ডি’কস্তার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশনের সভাপতি ফখরুল আকম সেলিম। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক- মার্ক রায়, প্রচার সম্পাদক-পংকজ গমেজ, সংগঠনের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য -ক্যান্টন কস্তা, জেরম বুলবুল গমেজ, ভিক্টর শেখর রোজারিও, মিসেস প্রণতি ক্রুশ,
বাংলাদেশি কমিউনিটি এসোসিয়েশনে সহ-সভাপতি তমিজ উদ্দিন খোকন, সাধারণ সম্পাদক – শাকের চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
বক্তারা তাদের বক্তব্য উল্লেখ করেন যে ,দূর প্রবাসে প্রচন্ড কর্মব্যস্ততার মাঝে, এই মিলন মেলা যেন এক চিলতে আনন্দের খোরাক এবং নতুন প্রজন্মের জন্য অনন্য উদ্যোগ। এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই তারা বাংলা সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়। নিজেদের মাঝে পারস্পারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে।
সভাপতি যোসেফ ডি’কস্তা তার বক্তব্য উল্লেখ করেন ,তুলুজ শহরে ২৫ বছর আগে যে ধর্মীয় সম্প্রীতির সমাজ গড়ে উঠেছিল তা এখনো চলমান। তিনি আহ্বান জানান এমনি ভাবে আমরা যেন নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাসকে, বুকে ধারণ করে অন্য ধর্মবিশ্বাসীদের, ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানাতে পারি। এটাই প্রকৃত মানব ধর্ম। প্রবাসে এ ধরনের সার্বজনীন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান।
“”””””***”
Leave a Reply