জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করে ইতালি ভেনিস শাখা আওয়ামী লীগে।
ইতালি ভেনিস শাখা আওয়ামী লীগের আহবায়ক বিল্লাহ হোসেন ঢালীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদের পরিচালনায় ঐতিহাসিক ৭মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, সর্ব ইউরোপ আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ সভাপতি ও প্রধান সমন্বয়ক কে এম লোকমান হোসেন,প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রব মিন্টু,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রব ফকির,ইতালী আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন,ইতালী আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম মাঝি,ইতালী আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাব বেপারী,কুমিল্লা উওর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইতালী আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ভুলু ছৈয়াল, আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম ছৈয়াল, ভেনিস আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাত হোসাইন, যুগ্ম আহবায়ক সোলাইমান হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ডালিম মাহমুদ, ভেনিস যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা ছৈয়াল কালু, তোশন খান, রিপন আহমেদ, সোহেল হোসাইন, সবুজ সারোয়ার সহ আরো অনেকে। এসময় ইতালি আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মেস্তে ও মারঘেরা শহরের আওয়ামী লীগ সহ মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার বক্তব্যে নেতা-কর্মীরা ৭ই মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন,বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে দেয়া ভাষণ অনন্য। বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ, সম্মোহনী, তেজস্বিতা, বাগ্মীতা, দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা, সুদুরপ্রসারী চিন্তা, পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টিতে সময়োপযোগী প্রয়োজনীয়তার নিরিখে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার সক্ষমতায় এ ভাষণ ছিল ব্যতিক্রমী।
এ ভাষণ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানেরআবাল বৃদ্ধ বণিতাকে এক পতাকাতলে সমবেত করে।এ ভাষণ ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সর্ব ইউরোপ আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ সভাপতি ও প্রধান সমন্বয়ক কে এম লোকমান হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে এ স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের এই দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তীতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাংখিত লক্ষ্যে পৌছে দেয়। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীণ পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে ঢ়াকার রেসকোর্স ময়দানে বিকাল৩.২০ মিনিটে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে ১৮ মিনিটব্যাপী যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।
প্রধান বক্তা ইতালী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রব মিন্টু বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের পরতে পরতে মিশে আছে জাতির পিতার অসামান্য অবদান। তাঁর অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে তিনি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাংখ্যা আকাংখ্যা একসূত্রে গেঁথে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। ঐতিহাসিক ভাষণের সেই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে জাতির পিতা ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা।
এসময় ইতালি ভেনিস শাখা আওয়ামী যুগ্ন আহবায়ক শাহাদাত হোসেন তার বক্তব্য বলেন, বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন ঐতিহাসিক ৭ মার্চ।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার এ ভাষণ ছিল সমগ্র সংগ্রামী বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা, অফুরন্ত শক্তি ও অদম্য সাহস। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল জাতীয় ঐক্য ও সংগ্রামের মূলমন্ত্র।
আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসাইনের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সকলের সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের সুরের মূর্ছনায় গোটা হলরুম লাল সবুজের পতাকার প্রতি এক মমত্ববোধের আবহ সৃষ্টি হয়।
দেশি-বিদেশি বহু বিদগ্ধজনের উদ্ধৃতি তুলে ধরেন ও ভাষণের কালজয়ী ধারণাগুলো জানিয়ে শ্রোতাদের বিমুগ্ধ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, জাতির পিতার এই ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীকালে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে ওঠে। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে জাতির পিতা যে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে নিহিত ছিল অদম্য বাঙালির মুক্তির ডাক।
তিনি নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধু কে জানতে এবং জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারন করে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহবান জানান এবং আগামী জাতিয় সংসদ নির্বাচনে যার যার অবস্থান থেকে পুনরায় জননেত্রী শেখ হাসিনা কে বাংলার মসনদে আসীন করতে সকল কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজবকরার আহ্বান জানিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
Leave a Reply